ওর নাকি বিয়ে – অনেক কষ্টের গল্প – ভালোবাসার গল্প

হ্যালো বন্ধুরা,
আজ আমি আপনাদের জন্য একটি রিকোয়েস্ট ভালোবাসার গল্প নিয়ে এসেছি।
গল্পটি পাঠিয়েছেন রাশেদ মাহমুদ একরাম।
আজ আমি তার লাভ স্টোরি টা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আমার নাম রাশেদ মাহমুদ একরাম। আমি সামিয়া নামের একটি মেয়েকে অনেক ভালোবাসি। আজও তাকে পাগলের মতো ভালোবাসি। কিন্তু সে আমাকে ভুলে গেছে। আমি চাই সে আমাকে ভুলে গেলেও সুখে থাকুক। কারণ আমি সামিয়াকে অনেক ভালবাসি। সামিয়া আমাকে বলেছিল কোনদিন আমাকে ভুলে যাবে না। কিন্তু কেন ভুলে গেল তা আমি আজও জানতে পারলাম না।
আমাকে সামিয়া মনে মনে অনেক পছন্দ করত, আমি জানতাম না। আমরা এখন দুজন পৃথিবীর দুই দেশে বসবাস করি। আমি সামিয়াকে চিনতাম কিন্তু জানতাম না সে আমাকে পছন্দ করে। হঠাৎ করে আমি বিদেশে চলে যাই কিন্তু সামিয়ার সাথে আমার অনলাইনে পরিচয় হয়। আমার সাথে মেসেঞ্জারে চ্যাট হয়। কথা বলতে থাকি, কথা বলতে বলতে দুজনে একে অপরকে ভালোবেসে ফেলি।
মাঝে মাঝে সামিয়া ফেসবুকে আসতে পারতো না। সামিয়া তার নানীর বাড়িতে থাকত। হঠাৎ করে একদিন ও তার নিজের বাড়িতে চলে যাবে আমায় বলেছিল। আর বলেছিল আমার 39 নাম্বারে কল দিও। কিছুদিন পর সামিয়া তার নিজের বাড়িতে চলে যায়। আমি ফোন দিতাম কথা বলতো। একদিন ফোন না দিলে অনেক কষ্ট পেতো।
রাত জেগে কথা বলতাম। হঠাৎ একদিন রাতে কথা বলতে বলতে একসময় কান্নাকাটি শুরু করে দিল। আমি বুঝতে পারতাম না কেন এরকম করত। আমি একদিন জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি আমায় ভালোবাসো? সে বলল জানি না। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার বললাম তুমি আমায় সত্যিই ভালোবাসো। সে বলল হ্যাঁ, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। তখন থেকে শুরু সামিয়া আর আমার ভালোবাসা।
আমি সামিয়াকে অনেক বোঝাতাম। তুমি কোন চিন্তা করো না, আমি সব সময় তোমার পাশে থাকব। সামিয়া আমাকে অনেক লাভ করতো। আমি অনেক লাভ করতাম ওকে। আমার ভালোবাসা কি ভুল ছিল আমি জানিনা। আমার হঠাৎ করে কিসের ভুলের কারণে সে ভুল বুঝল। আমি অনেক বুঝাতে চেয়েছি কিন্তু সে আমার বুঝ মানে নি। ওকে আমি এসএমএস দিলে আমার এসএমএস এর উত্তর দিত না।
জানি না সত্যিই কেন এমন হলো। আমি যে সামিয়াকে ছাড়া থাকতে পারি না। আর আমি ওকে অনেক ভালবাসি। আমি সামিয়ার অপেক্ষায় আজও পথ চেয়ে বসে আছি। কখন সে ফিরে আসবে। সামিয়া আমায় বলেছিল, ওর নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। জানি না কথা গুলো কতটা সত্যি।
ভালো থাকো সামিয়া।